মোঃ করিমুল হক , গুইমারা (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি ঃ
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ওয়াহিদা খানমের ওপর বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে ও দোষীদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবীতে মানব বন্ধন করেছে খাগড়াছড়ির গুইমারা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড। শনিবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার গুইমারা বাজার পুলিশ বক্স সংলগ্ন খাগড়াছড়ি-ফেনী-চট্টগ্রাম আঞ্চলিক মহাসড়কের দুইপাশে ঘন্টাব্যাপী অনুষ্ঠিত মানব বন্ধনে হাসলার ঘটনাকে নিন্দনীয় অপরাধ মন্তব্য করে এর সাথে জড়িতদের শাস্তি নিশ্চিত করার দাবী জানিয়ে মুক্তিযোদ্ধা নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকারের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব থাকা মাঠ পর্যায়ের প্রশাসনের কর্মকর্তার ওপর হামলার ঘটনার দৃষ্টান্ত শাস্তি নিশ্চিত করতে না পারলে দেশে অপরাধ প্রবনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি আইন শৃংখলা কাঠামো ভেঙে পড়বে। বক্তারা বলেন, দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ওয়াহিদা খানম শুধু নয় সন্ত্রাসীরা তাঁর বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা ওমর আলীর উপরও বর্বরোচিত হামলা চালিয়েছে। একজন মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁর সন্তানের উপর হামলার ন্যায় বিচার এখন সময়ের দাবী। দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ওয়াহিদা খানম ও তাঁর বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ওমর আলীর ওপর হামলার প্রতিবাদে দোষীদের শাস্তির দাবিতে জেলার গুইমারা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড এ মানব বন্ধনের আয়োজন করে। মানববন্ধনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন খাগড়াছড়ি জেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সাবেক সভাপতি হারুন মিয়া। মানববন্ধন ও সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন গুইমারা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ম্রাসাথোয়াই মগ। এতে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, গুইমারা উপজেলার সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোঃ শাহ আলম, গুইমারা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সভাপতি রতন মোহরী ও গুইমারা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহীনুর গাজী। মানববন্ধন ও আলোচনা সভার সঞ্চালনা করেন মোঃ হাসানুল ইসলাম। ঘন্টাব্যাপী মানবন্ধনে গুইমারার বিভিন্ন স্তরের মুক্তিযোদ্ধা ছাড়াও সর্বস্তরের মানুষ অংশ গ্রহণ করেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সাবেক সভাপতি হারুন মিয়া বলেন, কোন মুক্তিযোদ্ধা সন্তান বা মুক্তিযোদ্ধার উপর কোনরকম হামলা ও নির্যাতনকে বরদাস্ত করা হবেনা। এসব সন্ত্রাসীদেরকে কঠোর হস্তে দমন করার দাবী জানান। ২সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে সরকারী বাসভবনে সন্ত্রাসী হামলায় গুরুতর আহত হন দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ওয়াহিদা খানম ও তাঁর বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ওমর আলী। এছাড়াও কক্সবাজার টেকনাফের শামলাপুর তল্লাশি চৌকিতে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যার ঘটনায় দোষী পুলিশ সদস্যদেরও বিচারের দাবী করেন।