মো করিমুল হক, গুইমারা প্রতিনিধিঃ
খাগড়াছড়ি জেলার গুইমারা উপজেলার হাফছড়ি ইউনিয়নের কারবারি পাড়ায় সোমবার গভীর রাতে জেন্দ্র ত্রিপুরা (৪৮) নামে এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা করে লাশটিও নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে খুব কাছ থেকে তাকে হত্যা করা হয়। জেন্দ্র ত্রিপুরা (৪৮) সাবেক ইউপিডিএফ কর্মী বলে স্থানীয়রা দাবি করলেও ইউপিডিএফ তা অস্বীকার করেছে।
স্থানীয় সাংবাদিকরা জেন্দ্র ত্রিপুরার ঘরে ঢুকে দেখেছেন, বর্তমানে ঘরের মেঝেতে তাজা রক্তের ছাপ । দরজায় গুলির ঝাঝরা করা চিন্হ।
জেন্দ্র ত্রিপুরার স্ত্রী পলিন্দ্রি ত্রিপুরা জানান, গুলি করার পর লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করা হয়। পরে রশি দিয়ে বেঁধে ঝুলিয়ে লাশটিও নিয়ে গেছে অস্ত্রধারীরা।
অস্ত্রধারীরা মুখোশ পরিহিত হওয়ায় কাউকেই চিনতে পারেননি তিনি।
খবর পেয়ে মঙ্গলবার পুলিশ, নিরাপত্তা বাহিনী ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। তবে আশপাশ খুঁজে লাশ পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে হাফছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের ওয়ার্ড সদস্য অংগ্যজই মারমা জানান, ঘটনার পর রাতেই মোবাইলে বিষয়টি অবগত করা হয়েছিল। সকালে এসে রক্ত দেখে দুই কিলোমিটার এলাকা খুজে দেখা হয়। পরে রক্তের দাগ না পাওয়ায় আর লাশের সন্ধান মিলেনি।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, জেন্দ্র ত্রিপুরা ইউপিডিএফের সাবেক সদস্য। অস্ত্র আইনে জেন্দ্র ত্রিপুরার ৬ বছরের জেল হয়েছিল। জেল ফেরত ব্যক্তি আপন বড় ভাইয়ের মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে নারী-শিশু আইনে ফের ১০ মাস জেল খাটেন। এর পর জামিনে এসে ঐ সব মামলায় পলাতক আসামি ছিল জেন্দ্র ত্রিপুরা। ইউপিডিএফ এর স্থানীয় সংগঠক ক্যহ্রাচিং মারমা বলেছেন ; জেন্দ্র ত্রিপুরা খারাপ প্রকৃতির লোক ছিলেন। তার বিরুদ্ধে মামলা মোকাদ্দমা রয়েছে। তবে এই ঘটনায় ইউপিডিএফ জড়িত নয়।
গুইমারা থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) শফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, আদৌ জেন্দ্র ত্রিপুরাকে খুন করা হয়েছে কিনা নিশ্চিত নই। তবে এখন পর্যন্ত নিখোঁজ ব্যক্তির সন্ধান পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে কেউ মামলা করতেও আসেনি। অবশ্য এএসপি (রামগড় সার্কেল) ফরহাদ মাজহার বলেন, তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।