মিজানুর রহমান শাকিলঃ
আজ ৫ ডিসেম্বর,২০২০ গণতন্ত্রের মানসপুত্র হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী’র ৫৭তম মৃত্যুবার্ষিকী,সোহ্রাওয়ার্দী একজন বাস্তববাদী রাজনীতিক হিসেবে সুপরিচিত ছিলেন। বিভাগপূর্ব কালে বাংলার মুসলমানদের পশ্চাৎপদতার কারণে তিনি তাদের জন্য পৃথক নির্বাচনের একজন গোঁড়া সমর্থক ছিলেন। কিন্তু পাকিস্তান সৃষ্টির পর তিনি জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে একটি সাধারণ জাতীয়তা গড়ে তোলার জন্য যৌথ নির্বাচনের পক্ষে মত দেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে এ সংক্রান্ত একটি বিল পাস হয়।
তিনি১৯৬৩ সালের ৫ ডিসেম্বর মৃত্যুবরণ করেন। সোহরাওয়ার্দীর হাত ধরেই রাজনীতিতে পদার্পণ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের। ১৯৬৯ সালের ৫ ডিসেম্বর হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যুবার্ষিকীর আলোচনা সভায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পূর্বপাকিস্তানের নাম ‘বাংলাদেশ’ নামকরণ করেন।সে সময় বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘এক সময় এদেশের বুক হইতে, মানচিত্রের পৃষ্ঠা হইতে ‘বাংলা’ কথাটির সর্বশেষ চিহ্নটুকু চিরতরে মুছিয়া ফেলার চেষ্টা করা হইয়াছে।
একমাত্র ‘বঙ্গোপসাগর’ ছাড়া আর কোনও কিছুর নামের সঙ্গে ‘বাংলা’ কথাটির অস্তিত্ব খুঁজিয়া পাওয়া যায় নাই।… জনগণের পক্ষ হইতে আমি ঘোষণা করিতেছি আজ হইতে পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশটির নাম ‘পূর্ব পাকিস্তান’ এর পরিবর্তে শুধুমাত্র ‘বাংলাদেশ’।
আজ(শনিবার) সকালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়,সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের সভাপতিত্বে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তাহসান, আহমেদ রাসেল, সাংগঠনিক সম্পাদক সাদ বিন কাদের চৌধুরী ও নাজিম উদ্দিন,উপ সাংস্কৃতিক সম্পাদক তিলোত্তমা সিকদার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সভাপতি সঞ্জিব চন্দ্র, দাস,সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হুসেন, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক,এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দরা। এছাড়াও দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল আজ পৃথক কর্মসূচি নিয়েছে।