মোঃ আবু বাক্কার সিদ্দিক বেনাপোল প্রতিনিধি
যশোরের ঝিকরগাছা প্রতারনা ও জালজালিয়াতির মাধ্যে সরকারী-বেসরকারী (খাঁশ) জমি নিজ নামে রেকর্ড করে নেয়ায় বিপাকে পড়েছে বায়সা-চাঁদপুর দাখিল মাদ্রাসা, বাঁয়সা বাজারসহ বেশ কয়েকটি পরিবার। জানাগেছে, উপজেলার নাভারন ইউনিয়নের বাঁয়সা গ্রামের মৃতঃ তক্কেল দফাদারের ছেলে হজরত আলী ও তার স্ত্রী রুপালী বেগম প্রতারনার মাধ্যেমে বাঁয়সা-চাঁদপুর দাখিল মাদ্রাসার খরিদকৃত ৮ শতক ও সরকারী খাঁশ জমি বন্দবস্ত নেয়া ২০ শতক, বাঁয়সা বাজারের নামে বরাদ্দকৃত ২৮ শতক, ডাঃ ইবাদ আলীর ১ শতক, ডাঃ খোরশেদ আলমের ১ শতক, হোসেন আলীর ১ শতক, আবু খায়েরের ৮ শতক, বাবর আলীর ১ শতক, শওকত আলীর ৩৩ শতক ও সাবেক ইউপি সদস্য শুকুর আলীর ৩৩ শতক জমি নিজেদের নামে রেকর্ড করে নিয়েছে। এছাড়া পৈত্রিক সুত্রে পাওয়া মৃত কলিম উদ্দিনের মেয়ে খাইরুন নেছার ৬৬ শতক জমিও ওই চক্র নিজেদের নামে রেকর্ড করে নিয়েছে বলে জানাগেছে। বেশ কয়েকজনের মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে মঙ্গলবার বিকালে সরেজমিনে বাঁয়সা বাজারে গেলে ভুক্তভোগীরা জানান, ১৯৯০ সালের মাঠ জরিপসহ পূর্বের সকল কাগজপত্র তাদের নিজনিজ নামে থাকলেও ৩০ ও ৩১ ধারায় হজরত আলী ও তার স্ত্রী রুপালী বেগম প্রতারনার মাধ্যেমে তাদের নামে রেকর্ড করিয়ে নিয়েছে। পরবর্তীতে ভুক্তভোগীরা সকলে ওই রেকর্ড কাটার জন্য বিজ্ঞ আদালতে দেওয়ানী মামলা করেছেন। আদালতে মামলা বিচারাধীন থাকলেও ওই চক্র বিভিন্ন সময় ঝিকরগাছা থানায় ও শিওরদাহ আইসি ক্যাম্পে অভিযোগ দিয়ে মানুষকে হয়রানী করছে। এছাড়া উক্ত সম্পত্তি ধখলের পায়তারা করছে। জানতে চাইলে বায়সা-চাঁদপুর দাখিল মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা নুর ইসলাম জানান, ১৯৭৭ সালে মরহুম আজগর আলী দফাদারের নিকট থেকে তিনি ৮ শতক জমি ক্রয় এবং সরকারী খাঁশ খতিয়ান থেকে ২০ শতক জমি মাদ্রাসার নামে বন্দবস্ত নিয়ে ২৮ শতক জমির উপর উক্ত মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন। মাঠ জরিপে মাদ্রাসার নামে রেকর্ড হলেও ৩০ ও ৩১ ধারা চলাকালিন গোপনে ওই চক্র জমি তাদের নামে রেকর্ড করে নিয়েছে। জানতে পেরে মাদ্রাসার পক্ষ থেকে ওই রেকর্ড কাটার জন্য দেওয়ানী ও এলএসটি মামলা করা হয়েছে। এছাড়া বায়সা বাজার কমিটির সভাপতি রবিউল ইসলাম রবি জানিয়েছেন, সেই ছোট বেলা থেকে দেখে আসছি উক্ত সম্পত্তির উপর মাদ্রাসা ও হাটবাজার রয়েছে । কয়েকবছর ধরে ওই চক্র বাজারের জমাজমি সংক্রন্ত বিষয় নিয়ে বিশৃংখলা সৃষ্টি করে আসছে। বাজারের জমি নিজেদের নামে কেটে নিয়ে যাওয়ায় ইউনিয়নের নায়েব মোঃ রুহুল আমীন হজরত আলী গংয়ের নামে মামলা করেছেন বলেও জানান তিনি। এছাড়া ভুক্তভোগী ডাঃ লিয়াকত আলী, শওকত আলী, শুকুর আলী, খোরশেদ আলম, ইবাদ আলী, হোসেন আলী, আবু খায়ের, বাবর আলীও একই কথা বলেছেন। এসব বিষয় জানতে অভিযুক্ত হজরত আলী (বর্তমানে নওয়াপাড়ায় বসবাস করেন) ০১৯২৮-১৭৪৩৬২ মোবাইলে ফোন দিলে তার স্ত্রী রুপালী খাতুন ফোন রিসিফ করে বলেন, পূর্বে সকল সম্পত্তি তার শশুরের নামে ছিল। তাদের কাছে সকল কাগজপত্র আছে বলেই তিনি দাবি করেন। এছাড়া হজরত আলীর ভাই আছমত আলীও উক্ত সকল সম্পত্তি তার পিতার ছিল বলে দাবি করেছেন। জানতে চাইলে নাভারন ইউনিয়নের নায়েব মোঃ রুহুল আমীন জানান, ওই বাজারের সকল সম্পত্তিই সরকারী। মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নামে বরাদ্দ দেয়া রয়েছে। তারা প্রতিবছর খাজনা দিচ্ছে। হজরত আরীর নামের রেকর্ড কাটার জন্য বিজ্ঞ আদালতে মামলা করা হয়েছেও জানান তিনি। বিষয়টির স্থায়ী সমাধান চেয়ে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন বায়সা স্কুলের সভাপতি রুহুল আমীনসহ স্থানীয় সচেতন মহল