তাপস কর,ময়মনসিংহ প্রতিনিধি।
নেত্রকোনার কলমাকান্দায় গুমাই নদীতে ট্রলারডুবিতে নিখোঁজদের উদ্ধার করতে ময়মনসিংহ ও কিশোরগঞ্জ হতে আসা ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিদল কাজ করছেন। ট্রলার ডুবির ঘটনায় নেত্রকোনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিএম) আব্দুল্লাহ আল মামুনকে প্রধান করে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ঘটনার পর গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ৮টায় অভিযান স্থগিত করেন। পরে আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৭টা থেকে গুমাই নদীতে তারা এই উদ্ধার অভিযান শুরু করেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান চলছে। জেলা ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা আবু আব্দুল্লাহ মো. সাইদুল্লাহ উপস্থিত থেকে সরেজমিনে তদারকি করছেন বলে জানান কলমাকান্দা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম। এ বিষয়ে প্রায় ১২টার দিকে নেত্রকোনা ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা আবু আব্দুল্লাহ মো. সাইদুল্লাহর সাথে কথা হলে তিনি জানান, আজ সকাল থেকে ফের উদ্ধার অভিযান চলছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো মৃতদেহ উদ্ধার হয়নি। এছাড়া বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিআইডব্লিউটি এর একটি দল উদ্ধার অভিযানে যোগ দিয়েছেন বলেও জানান তিনি। এদিকে নেত্রকোনা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিএম) আব্দুল্লা আল মামুনকে প্রধান করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানান জেলা প্রশাসক কাজী আব্দুর রহমান। নেত্রকোনা সদরের মেদনী গ্রামের নিহত পরিবারকে ২০ হাজার এবং সুনামগঞ্জের ৯ পরিবারকে ১০হাজার টাকা দিয়েছে নেত্রকোনা জেলা প্রশাসক। গতকাল বুধবার সকালে গুমাই নদীতে ট্রলার ডুবে ৪ শিশুসহ ১০জন মারা গেছে। সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৯টি পরিবারকে ২০ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। এদিকে, বুধবার বিকেলে ওই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে বাল্ককহেড নৌকার চালকসহ পাঁচজনকে আটক করেছে কলমাকান্দা থানা পুলিশ। ওসি মো. মাজহারুল করিম এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। এদিকে তদন্ত কমিটির প্রধান নেত্রকোনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিএম) আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, ট্রলারডুবির ঘটনায় ইতোমধ্যেই আমরা কাজ শুরু করেছি।