নুরুন্নবী নবীন, নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধি-
নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদীতে সন্ত্রাসীদের হাত থেকে স্ত্রীকে বাঁচাতে গিয়ে হামলার শিকার এক যুবক ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টন্তমূলক শাস্তির দাবিতে স্বজন ও এলাকাবাসী মানববন্ধন সমাবেশ করছে।
সোমবার জেলা জজ আদালতের সামনে সড়কে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে জানানো হয়, জেলা শহরের লক্ষীনারায়নপুর এলাকার মো: রফিকের ছেলে মো: সুজন তার স্ত্রীকে নিয়ে গত ১৭ মে বিকেলে শহরের হাউজিং বালুর মাঠে বেড়াতে যান। এ সময় স্থানীয় সন্ত্রাসী অপূর্ব, সৈকত, ইয়াছিন আরাফাত,ফরহাদ ও আব্দুল করিম সুজনের স্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে আপত্তিকর কথাবার্তা বলতে থাকে। এক পর্যায়ে তারা সুজনের স্ত্রীর শরীরের বিভিন্ন স্থানে হাত দেয়। এ সময় সুজন সন্ত্রাসীদের বাধ দিলে তারা সুজনকে বেধড়ক পিটিয়ে ও কুপিয়ে একটি পুকুরে ফেলে দেয়। আশংকাজনক অবস্থায় তাকে প্রথমে ২৫০ শয্যা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
মানববন্ধনে তাজকেরা বেগম চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে বলেন, ছেলের অবস্থা ক্রমের খারাপের দিকে যাচ্ছে। জরুরী ভিত্তিতে আইসিইউতে রাখা দরকার। টাকার অভাবে তার চিকিৎসা ব্যয় মেটাতে পারছি না।
এ সময় সমাবেশে মামলার প্রধান আসামি অপূর্বসহ সব আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দাবি দৃষ্টন্তমূলক শাস্তির জানানো হয়।
সুধারাম থানার ওসি আনোয়ারুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় সুজনের চাচা মাসুদ শাহিন বাদী হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাত আরো ২০ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার এজাহারভুক্ত দুই আসামিসহ এ পর্যন্ত তিনজকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। প্রধান অভিযুক্ত অপূর্বসহ বাকি আসামিদের ধরতে অভিযান চালানো হচ্ছে।