বাংলাদেশ সমুদ্রগামী জাহাজে তেল বিক্রির সক্ষমতা অর্জন করেছে

0
8

প্রতিবছর দেশে আসা জাহাজগুলোতে এই তেল বিক্রি করতে পারলে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আয় সম্ভব বলে মনে করেন বিপিসি চেয়ারম্যান সামছুর রহমান।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রতিযোগিতামূলক মূল্য নির্ধারণ করতে না পারলে হোঁচট খাবে এই রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ।
দেশে প্রথমবারের মতো সমুদ্রগামী জাহাজে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড মেনে, তেল বিক্রির সক্ষমতা অর্জন করলো রাষ্ট্রায়ত্ব প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন।
এর আগে, বিদেশগামী জাহাজগুলো শ্রীলঙ্কা ও সিঙ্গাপুর থেকে তেল কিনলেও, এবার সেই বাজার এলো দেশে।
চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে আন্তর্জাতিক নৌরুটে চলাচল করা জাহাজের জন্য দশমিক ৫ মান মাত্রার মেরিন ফুয়েল বা ফার্নেস তেল ব্যবহার বাধ্যতামূলক করেছে আন্তর্জাতিক সমুদ্র সংস্থা- আইএমও।
অবশেষে প্রায় আট মাসের মাথায় দেশের সমুদ্র বন্দরগুলোতে আসা জাহাজে তেল সরবরাহ করতে, ঐ মাত্রার তেল আমদানি শুরু হলো দেশে।

গেলো সপ্তাহে প্রায় ১৫ হাজার মেট্রিকটন ফার্নেস তেল নিয়ে পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের চট্টগ্রামের জেটিতে ভেড়ে আমদানিকৃত তেলবাহী জাহাজ টিএমএন প্রাইড।
প্রায় ১ যুগ আগে দেশে উৎপাদিত ৩.৫ শতাংশ সালফার মাত্রার ফার্নেস ও ভাঙ্গা জাহাজের তেল সরবরাহ হতো জাহাজে। বেশি দাম ও প্রাপ্যতা নিশ্চিত না হওয়ায় ব্যবসা বন্ধ হয়ে যায় সে সময়।
নতুন এই উদ্যোগে দেশ লাভবান হবে বলে মনে করেন আন্তর্জাতিক রুটের জাহাজের ক্যাপ্টেন শওকত হোসেন।
বন্দর থেকে জাহাজে তেল সরবরাহকারীরা মনে করেন, তেলের ভালো বাজার পেতে মূল্য নির্ধারণে কৌশলী হতে হবে।
তেল খালাস কার্যক্রম মেঘনা পেট্রোলিয়ামের মাধ্যমে সম্পন্ন হলেও, পরবর্তীতে বিপিসি’র তিন পেট্রোলিয়াম কোম্পানি যমুনা-পদ্মা ও মেঘনার মাধ্যমেই বিক্রি কার্যক্রম চলবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকার সাপ্লায়ারর্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মিজানুর রহমান মজুমদার বলেন, ‘আমরা সব সময় সিঙ্গাপুরের সাথে প্রতিযোগিতা করি।
তাই তাদের সাথে দাম ও অন্যান্য বিষয়ে দাম পাশাপাশি রাখতে হবে।’

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here