দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার মাহালী জনগোষ্ঠি প্রায় বিপর্যয়ের মুখে । প্লাষ্টিক ও সিলভর পণ্যের ব্যবহার এবং বাঁশের মুল্য বৃদ্ধি হওয়ায় মাহালীদের তৈরী বাঁশের পন্য বিক্রি করে সংসার চলছে না । ফলে বাপ দাদার এ পেশা ছাড়ছেন অনেকে। কর্তৃপক্ষ বলছেন মাহালী জনগোষ্ঠিকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য গ্রহন করা হচ্ছে বিভিন্ন পদক্ষেপ। মাহালী জনগোষ্ঠি। ক্ষুদ্র নৃগোষ্টির একটি ছোট অংশ।
তাদের বেশির ভাগই ভুমিহীন। তাদের একমাত্র আয়ের উৎস্য গৃস্থালী কাজে ব্যবহৃত বাঁশের পণ্য তৈরী। এক সময় বাঁশের তৈরী কুলা, চালা, ডালা, ধামা ছাড়া গ্রামগঞ্জে গৃহস্থালী কাজ চলতনা। ব্যাপক চাহিদার কারনে সারা বছর ব্যস্ত সময় পার করতো মাহালীরা। তাদের জীবন যাত্রা ভালই চলছিল।
কিন্তু বিগত কয়েক বছর যাবত তাদের তৈরী পণ্যের জায়গা দখল করে ন্যায় প্লাষ্টিক ও সিলভরের পন্য। ফলে দিন দিন এ জনগোষ্ঠি হয়ে পড়ছে বেকার। কেউ কেউ নিরুপাই হয়ে পেশা পরিবর্তন করলেও বেশির ভাগ মাহালী অন্য কোন কাজ না জানায় বাধ্য হয়েই বাপ দাদার পেশায় রয়ে গেছে। কিন্তু এ পেশায় চলছেনা তাদের সংসার। লেখা পড়া করাতে পারছেন না তাদের সন্তানদের। বাঁশের মুল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় বাঁেশর তৈরী পণ্য বিক্রয় করে একজনের মজুরীও ভাগ্যে জোটেনা। বাঁশের কাজের আয় থেকে সংসার পরিচালনা করা কষ্টকর হয়ে পড়েছে মাহালীদের। বাজারে চাহিদা আছে এমন সৌখিন বাঁশের পণ্য তৈরির প্রশিক্ষন ও সুদমুক্ত ঋন প্রদান করা হলে মাহালী জনগোষ্ঠি সাবলম্বী হতে পারবে।
তাদের সন্তানদের লেখা পড়া শিখাতে পারবে। এগিয়ে নিয়ে যাবে মাহালী জনগোষ্ঠি। প্লাষ্টিক পণ্যের ভিড়ে বাঁশের পণ্যের চাহিদা কমে যাওয়ায় মাহালীদের ব্যবসায় ধস নেমেছে। ফলে অনেকেই এই পেশা ছেড়ে অন্য পেশাতে চলে যাচ্ছে। বাব দাদার এ পেশাকে ধরে রাখতে আপ্রান চেষ্টা চালাচ্ছে মাহালীরা। এ পেশাকে টিকিয়ে রাখতে সরকারের সহযোগীতা কামনা করছেন মাহালীরা।
মাহালীরা জানেন তাদের অভাবের সংসার। তাদের আয় দিয়ে সন্তানদের লেখাপড়া করানো দুস্কর। তবুও স্বপ্ন দেখেন সন্তানদের লেখা-পড়া শিখিয়ে ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার বানানোর। যাদের পুজি নেই এমন মাহালীদের সুদ মুক্ত ঋণ এবং দলিত ভাতা প্রদানের কাজ শুরু করা হইয়াছে। বরাদ্দের চাহিদা পত্র উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে পাঠানো হয়েছে। উপজেলার সকল মাহালাদীদেরকে এর আওতায় আনা হবে।
মাহালীদের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রশিক্ষন প্রদানের জন্যও চাহিদা পত্র প্রের করা হয়েছে। এ উপজেলায় ৩ শ‘র অধিক পরিবার রয়েছে মাহালী জনগোষ্ঠির। যাদের বেশির ভাগই হতদরিদ্র। সোবহান আলম নবাবগঞ্জ দিনাজপুর ০১৭১৯৮৫৮৪৪৯