বেনাপোল প্রতিনিধি মোঃ আবু বাক্কার সিদ্দিক
পারিবারিক তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দোকান ভাংচুর, লুটপাট ও দুই যুবককে পিটিয়ে এবং কুপিয়ে গুরুতর জখম করার অভিগোগ উঠেছে। আহত দুই যুবকের মধ্যে জনি মিয়ার অবস্থা আশঙ্কাজনক। জনি মিয়া গুরুতর রক্তাক্ত অবস্থায় প্রথমে নাভারণ ও পরে যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ব্যাপারে বেনাপোল পোর্ট থানায় মামলা করা হয়েছে। শনিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে বেনাপোল পোর্ট থানার সাদিপুর গ্রামে। আহতরা হলেন সাদিপুর গ্রামের ওসমান খোকার ছেলে মিলন হোসেন (৩৫) ও একই গ্রামের দাউদ আলীর ছেলে জনি মিয়া (৩৪)। প্রত্যক্ষদর্শী খোদেজা বেগম ও হাবিবার রহমান বলেন, মিলন তার স্ত্রীর সাথে পারিবারিক কলহের জের ধরে মিলনের শ্যালক আবুবক্কার এসে মিলনকে বাটখারা দিয়ে মাথায় আঘাত করতে থাকে। এসময় জনি এসে ঠেকাতে গেলে তাকে আবু বক্কার, ফারজেল ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা দা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। ধারালো দা দিয়ে কোপ দিলে জনির মাথায় দা ঢুকে রক্তপাত হয়। এরপর মাথায় দা আটকে গেলে কয়েকজন ধরে টেনে বের করে। এরপর চিকিৎসার জন্য প্রথমে নাভারণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার তাকে যশোর সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য পরামর্শ দেন। মিলনের বাবা ওসামন খোকা বলেন, তার ছেলে ও ছেলের স্ত্রীর পারিবারিক কলহের জের ধরে আবুক্কার ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে মারধর করে। এবং দায়ের কোপে জনিকে গুরুতর রক্তাক্ত আহত করে। এবং মিলনকে বাটখারা দিয়ে পিটিয়ে ও গুরুতর আহত করে। এসময় আবু বক্কারের চাচা আলী আহম্মেদ নেদা ও আজিবার রহমান ভুট্রো এসে হুকুম দেয়- তাদের গুলি করে হত্যা করার। ওসামন খোকা আরো বলেন, নেদা এলাকায় একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। সে লাইসেন্স বিহীন পিস্তল নিয়ে এলাকায় ঘোরাফেরা করে। তার দোকানে রাখা ২ লাখ টাকা ও বেচা কেনার অর্থ দুর্বৃত্তরা লুট করে নিয়ে যায়। মামলার তদন্তকারী অফিসার এসআই রোকন বলেন, এ ব্যাপারে থানায় দাউদ হোসেন মামলা করেছে। আসামিরা হলো- ওই গ্রামের আব্দুল মিয়ার ছেলে আলী আহমেদ নেদা (৫৬) তার ভাই আজিবার রহমান ভুট্টো, ভুট্টোর ছেলে আবু বক্কার এবং খোদাবক্সের ছেলে ফারজেল হোসেন। এর মধ্যে নেদা ও ভুট্টোকে আটক করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। ফারজেল হোসেন জনিকে কুপিয়ে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করতে গেলে তাকে ভারতের জনগণ পিটিয়ে বাংলাদেশে সাদিপুর বর্ডার দিয়ে হস্তান্তর করে। ফারজেলও গুরুতর আহত অবস্থায় যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। বেনাপোল পোর্ট থানার ওসি মামুন খান বলেন, এ ব্যাপারে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। এবং আহত জনির বাবা বেনাপোল পোর্ট থানায় মামলা দায়ের করেছে।