মোঃ আবু বাক্কার সিদ্দিক বেনাপোল প্রতিনিধি
মাদক সেবন করে খামখেয়ালী মত অফিস করা, ইচ্ছা খেয়াল খুশি মত কাজ করায় স্থল বন্দরের ১৭ নং শেড থেকে আমদানী পণ্য সময়মত বের করতে পারছে না বলে একাধিক অভিযোগ উঠেছে। ওই শেড এর দায়িত্বে থাকা রুহুল আমিন দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক বিশেষ করে ফেনসিডিল সেবন করে অফিসের সময়ের কাজ সময় মত না করায় ব্যবসায়ীরা হয়রানির শিকার হচ্ছে। সকাল সাড়ে ৯ টার মধ্যে শেড খোলার কথা থাকলেও তিনি যথাসময়ে না খুলে বেলা ১২ টার সময় নিয়মিত ইচ্ছা মাফিক শেড খোলে। এবং বেলা ১ টার সময় বন্ধ করে চলে যান। আবার ৫ টার সময় তিনি অফিস খোলেন। ঢাকার আমদানিকৃত প্রতিষ্ঠানের নাম প্রকাশে অনিচ্ছাকৃত ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেন বলেন, ওই শেডে ভারত থেকে আমদানিকৃত দুধ রাখা হয়। আমরা এই দুধ ডেলিভারী নিতে হয়রানির শিকার হচ্ছি। শেড ইনচার্জ রুহুল আমিন প্রতিদিন অনিয়মিত অফিস করেন। তার জন্য একটি মাল ডেলিভারী নিতে অধিক সময় লেগে যাচ্ছে। ওই শেড এর পাশের ১৬, ১৮ নং শেড এ পণ্য ডেলিভারী নিতে আসা সিএন্ডএফ এর একাধিক স্টাফ জানান, ১৭ নং শেডটি সময়মত খোলে না। আমরা কয়েক দফা পোর্ট এর উর্দ্বতন কর্মকর্তাদের অভিযোগ করলেও কোন কাজ হয়নি। সোমবার সরেজমিন ১৭ নং শেডে বেলা সাড়ে ১২ টার সময় যেয়ে বন্ধ পাওয়া যায়। সেখানে পণ্য নিতে আসা গাড়ি দাঁড়িয়ে আছে শেড ইনচার্জ আসার অপেক্ষায়। শেড ইনচার্জ রুহুল আমিনকে ফোন দিয়ে শেডটি কেন বন্ধ জানতে চাইলে তিনি বলেন কাজ নেই চলে এসেছি। বেলা তিনটার সময় যাব। নিয়মিত এরকম করেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন কাজ না থাকলে আমি বসে বসে কি করব। তাই বাসায় চলে আসি। আপনি ফেনসিডিল সেবন করেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন আপনাকে কে বলেছে ? আমি কেন মাদক সেবন করব? এই বলে যে তথ্য দিয়েছে তাকে তিনি অশ্লিল ভাষায় গালাগালি করেন। এ ব্যাপারে তারই সহকর্মী কয়েকজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, সে শুধু ফেনসিডিল নয় মদ্যপান ও করেন। সংশ্লিষ্ট নির্ভরযোগ্য অসমর্থিত সুত্রে আরো জানা গেছে বেনাপোল স্থল বন্দরে দীর্ঘ দিন কর্মরত এম্লয়ীজ ইউনিয়ন এর সাথে যুক্ত জনৈক ট্রাফিক পরিদর্শক এর আশ্রয় প্রশ্রয়ে এই বন্দরের আরো কয়েকটি শেডে নিয়মিত সন্ধ্যার দিকে মাদক সেবনের আসর বসে। বিষয়টি বন্দর ব্যাবহারকারী মহলের মধ্যে ক্ষোভ ও উৎকন্ঠার সৃষ্টি করেছে।