মিয়ানমার দেশটির ওপর যে কোনো সময় কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হতে পারে বলে জানিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এদিকে মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থান নিয়ে নিন্দা জানানোর পাশাপাশি গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। এর মধ্যেই মিয়ানমারের নেইপিডোতে ব্যাপক ধরপাকড় চালিয়েছে সামরিক বাহিনী।
মঙ্গলবার রাতের ইয়াংগুনের একটি ভিডিও দৃশ্য দেখা যায় সু চি সরকারকে উৎখাত করে সামরিক বাহিনীর ক্ষমতা দখলের প্রতিবাদে নিজ নিজ বাড়ি থেকে শব্দ করে প্রতিক্রিয়া জানান ইয়াংগুনবাসী।
সোমবার থেকে সু চির দেখা না পাওয়া গেলেও মঙ্গলবার তার দলের এক নেতা জানিয়েছেন সু চি ভালো আছেন। তবে তাকে কোথায় রাখা হয়েছে তা বলেননি তিনি। এদিনও দেশটির পার্লামেন্ট সদস্যদের আটক করে সেনাবাহিনী। এদিন ক্ষমতাগ্রহণের পর প্রথমবারের মতো আলোচনায় বসেন সেনাপ্রধান মিন অং লাংই ও ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট মিন্ট সোয়ে। বৈঠকে কি আলোচনা হয়েছে তা বিস্তারিত জানায়নি দেশটির কোনো গণমাধ্যম।
তবে মঙ্গলবার সকালেই আবার সু চির রাজনৈতিক দল ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটির লিগ (এনএলডি)-এর প্রেস কর্মকর্তা কিয়াই টোয়ে জানান বাড়ির সীমানাপ্রাচীরের মধ্যে তাকে শনাক্ত করা গেছে। খবর এএফপির।
এ ছাড়া নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এনলডির এক আইনপ্রণেতা জানিয়েছেন, রাজধানী নেইপিডোর সরকারি বাসভবনে তাকে গৃহবন্দি করা হয়েছে বলে খবরে বলা হয়।
এদিকে মিয়ানমার ইস্যুতে মঙ্গলবার রুদ্ধদ্বার বৈঠক করে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। বৈঠকে সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরেন জাতিসংঘের মিয়ানমারবিষয়ক বিশেষ দূত ক্রিস্টিন বার্গনার। পরে এক বিবৃতিতে সু চির মুক্তির আহ্বান জানায় সংস্থাটি।
বার্গনার সবার সামনে বিষয়টি তুলে ধরেছেন। সামরিক বাহিনীর এমন ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে মিয়ানমারে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
এদিকে গণতান্ত্রিক সরকারকে হটিয়ে সামরিক বাহিনীর ক্ষমতা গ্রহণ করায় মিয়ানমারের সঙ্গে সব ধরনের সহযোগিতামূলক সম্পর্ক বাতিল করা হতে পারে বলে জানিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। যদিও চীন মিয়ানমারের ঘটনাকে সামরিক অভ্যুত্থান হিসেবে মানতে নারাজ। এটা মন্ত্রিসভার রদবদল ছাড়া কিছুই নয় তাদের ভাষায়।