ময়মনসিংহের নান্দাইলে স্ত্রী হত্যায় স্বামীর স্বীকারোক্তি প্রদান।

0
5

‘ তাপস কর,ময়মনসিংহ প্রতিনিধি।

ময়মনসিংহের নান্দাইল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে স্ত্রীর লাশ ফেলে পালানোর সময় পুলিশের হাতে ধরা খায় স্বামী। স্ত্রীর হত্যার ঘটনা তখন বেমালুম অস্বীকার করলেও থানা হেফাজতে থাকা স্বামী পুলিশের কাছে স্বীকার করে বলে, ‘তুই’ সম্বোধন করে বকা দিলে রাগের বসে স্ত্রীর গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ভয় দেখানোর চেষ্টা করে। পরে অজ্ঞান হয়ে গেলে চোখে মুখে ও মাথায় পানি ঢেলে হাসপাতালে নিয়ে যায়। এতে যে সে মরে যাবে তা সে বুঝতে পারেনি। থানার ওসি মিজানুর রহমান আকন্দ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। গত রবিবার রাতে হত্যা মামলার পর আজ সোমবার অভিযুক্ত স্বামীকে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়। স্থানীয় সূত্র ও মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, নিহত নারী হচ্ছেন নান্দাইল পৌরসভার ঝালুয়া নামক মহল্লার আবু ছাঈদ মন্ডলের মেয়ে তামরীন নাহার পপি (১৯)। গত প্রায় ছয় মাস আগে বিয়ে হয় উপজেলার আাঁচারগাও ইউনিয়নের সিংদই গ্রামের আব্দুল হেলিমের ছেলে শাহীনের (২৫) সাথে। এরপর থেকে শাহীন শ্বশুর বাড়িতেই থাকত। গত শনিবার সকালে বাড়ির অন্যরা বেড়ানোর উদ্দেশ্যে বাইরে গেলে ফাঁকা বাড়িতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। পরে রাত ১১টার দিকে পপিকে নিয়ে হাসপাতালে যাওয়ার সময় টের পায় প্রতিবেশীরা। কিছুক্ষণ পর খবর আসে পপি মারা গেছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ সুরতহালকালে ও কর্তব্যরত চিকিৎসকের সাথে কথা বলে দেখা যায় পপির গলার দুই পাশে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ অবস্থায় পুলিশ স্বামীকে খোঁজ করে না পেয়ে কিছুক্ষণ পর হাসপাতালের গেট থেকে তাকে আটক করে। থানায় আসার পর স্ত্রীর হত্যার সাথে নিজের কোনো সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করে। পরে রবিবার রাতে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এসে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে শাহিন স্ত্রীর হত্যার দায় স্বীকার করে। এ অবস্থায় রাতে শাহিনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের বাবা আবু ছাঈদ মন্ডল।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here