ময়মনসিংহে চুরির অপবাদ দিয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন।

0
11

তাপস কর,ময়মনসিংহ প্রতিনিধি।

মোবাইল চুরির অভিযোগ এনে শিশু-কিশোরকে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন যেন এখন নিয়মিত ঘটনা। এরই ধারাবাহিকতায় ময়মনসিংহেও ঘটেছে এমন একটি ঘটনা। সদরের ভবানীপুর এলাকায় মোবাইল চোর সন্দেহে এক কিশোর ও এক যুবককে দড়ি দিয়ে বেঁধে বেধড়ক পিটিয়েছে স্থানীয় গোলাম মোস্তফা। আজ রোববার (৬ সেপ্টেম্বর) সকালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা গেছে, মোবাইল চুরির অপবাদ দিয়ে দুইজনের ওপর বর্বর নির্যাতন চালাচ্ছে গোলাম মোস্তফা। এসময় তারা চিৎকার করে প্রাণ ভিক্ষা চাইলেও তাদের নির্মমভাবে পেটানো হয়। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গেল বুধবার প্রভাবশালী গোলাম মোস্তফার মেয়ের একটি মোবাইল চুরি হয়। এরপর চোর সন্দেহে পরদিন বৃহস্পতিবার ভোরে ধরে আনা হয় এলাকার যুবক ফয়জাল (২১) ও কিশোর রাকিবকে (১৪)। পরে গোলাম মোস্তফার নেতৃত্বেই সকাল ৭টা থেকে বিকাল পর্যন্ত চলে ওই দুজনের ওপর মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন। তবে মারধরের কথা অস্বীকার করে অভিযুক্ত গোলাম মোস্তফা বলেছেন, কারো গায়ে হাত তোলার বদ অভ্যাস নেই তার। এদিকে স্থানীয় প্রভাবশালীদের ভয়ে কোণঠাসা ভুক্তভোগীর পরিবার। এ ঘটনার বিচার চান তারা। ভুক্তভোগী ফয়জালের মা ফাতেমা আক্তার বলেন, আমার ছেলে চুরি না করা সত্ত্বেও তাকে ধরে নিয়ে গিয়ে অমানুষিক নির্যাতন করেছে। আমি তাদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই। নির্যাতনের ঘটনার সময় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় ইউপি সদস্য। প্রতিবাদ করেননি তিনিও। পরে চুরির অভিযোগে যুবক ফয়জালকে পুলিশের হাতে তুলে দেয় নির্যাতনকারীরা। এ বিষয়ে সিরতা ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শাহ আলম বাদশা বলেন, স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করার চেষ্টা করেছি কিন্তু যাদের বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ তারা কেউ আমার কাছে আসেনি। পরে পুলিশকে খবর দিয়ে আমরা আইনের হাতে তাদের সোপর্দ করে দিয়েছি। তবে নির্যাতনের ঘটনায় এখনো কেউ থানায় অভিযোগ করেনি বলে জানিয়েছে পুলিশ। কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ তালুকদার বলেন, বিষয়টি আমরা জানতে পেয়েছি। এ ঘটনায় জড়িতদের আটকের চেষ্টা চলছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here