চিফ রিপোর্টার- এ কে আজাদ সেন্টু :
নাটোরের লালপুরে মোবাইল ফোনে ইমো হ্যাকিং প্রতারণা চক্রের ৯ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে লালপুর থানা পুলিশ। রবিবার নাটোরের পুলিশ সুপারের প্রেস ব্রিফিং শেষে আদালতের মাধ্যমে তাদের নাটোর জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
লালপুর থানা পুলিশ সুত্রে জানা যায়, রবিবার (২২ মে) গভীর রাত থেকে ভোর রাত পযর্ন্ত লালপুর থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে উপজেলার দুড়দুড়িয়ার পাইকপাড়া সেন্টার বাজার এলাকায় অবস্থান কালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পাই উপজেলার জোতগরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দক্ষিণ পার্শ্বে কিছু যুবক ইমো হ্যাকার হ্যাকিং করে বিভিন্ন পর্যায়ের মানুষদের কাছ থেকে প্রতারণা করে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ৯ জনকে গ্রেফতার করে লালপুর থানা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, উপজেলার গন্ডবিল গ্রামের আকবর আলীর ছেলে সাহেব আলী (২১) মনিহার পুর গ্রামের জাকির হোসেনের ছেলে শাকিল (২২), মোহরকয়া গ্রামের ইনছার মন্ডলের ছেলে সাহাবুল ইসলাম (৩৫), মনিহার পুর গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে রুবেল হোসেন জয় (২৭), বাকনা গ্রামের আরজ আলীর ছেলে রবিউল ইসলাম ম্যাগনেট (৪২), মনিহার পুর গ্রামের চঞ্চল কুমার এর ছেলে চন্দন কুমার (২৩), মহারাজপুর গ্রামের মৃত জব্বার মন্ডল এর ছেলে সিরাজুল ইসলাম (৩২), মহারাজপুর গ্রামের নাজিম মÐলের ছেলে আশরাফুল ইসলাম ওরফে অভি (২৫), একই গ্রামের মুখলেসুর রহমান ছেলে রাজু হোসেন (১৭), তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন প্রকারের ৮টি মোবাইল সহ সিম কার্ড জব্দ করা হয়।
এবিষয়ে নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা বিপিএম পিপিএম- প্রেস বিফ্রিং এ জানান, তারা দীর্ঘদিন থেকে পরস্পর যোগসাজসে ইলেকট্রনিক ডিভাইস ও ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবহার করে প্রবাসীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ইমো ব্যবহারকারীদের ইমো হ্যাক করতো। এরপর ইমো সফ্টওয়্যারে অবৈধ প্রবেশ করে মেয়ে ও পুরুষের ছদ্মবেশ ধারণ করতো। নিজ পরিচয় গোপন করে বিভিন্ন ছবি ও ভিডিও প্রদর্শন এবং প্রতারণার মাধ্যমে কৌশলে ভিকটিমের পরিচিতজনদের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে বিকাশে অর্থ হাতিয়ে নিতো।
লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোনোয়ারুজ্জামান বলেন, এ ঘটনায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে থানায় মামলা হয়েছে। রবিবার আদালতের মাধ্যমে তাদের নাটোর জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।