মোঃ লালচান মাহমুদ শরণখোলা প্রতিনিধিঃ
বাগেরহাটের শরণখোলায় প্রতিপক্ষের হামলায় কৃষক জাকির হোসেন জোমাদ্দার নিহতের ঘটনায় সাত জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দ্বায়ের করা হয়েছে । উপজেলার ধানসাগর গ্রামের বাসিন্দা নিহত জাকিরের স্ত্রী শিউলী বেগম বাদী হয়ে ২৫ আগস্ট (মঙ্গলবার) রাতে ঘটনার মুল নায়ক প্রতিপক্ষ মন্টু জোমাদ্দার সহ সাত জনকে অভিযুক্ত করে উক্ত মামলাটি দ্বায়ের করেন । অপরদিকে , শরণখোলা থানা পুলিশ এক অভিযান চালিয়ে মন্টু ও তার ভাই সেন্টু জোমাদ্দারের স্ত্রী মোসাঃ শিল্পী বেগম (৩৫) ও মোসাঃ মাসুমা বেগম (৪০) কে ইতিমধ্যে আটক করে জেল হাজতে পাঠিয়েছেন । উল্লেখ্য, (মঙ্গলবার) দুপুরে কৃষক জাকিরের পালিত একটি ছাগল তার ছোট ভাই হুমায়ুনের বীজ তলায় গেলে প্রতিবেশি মন্টু জোমাদ্দারের ছেলে ওই ছাগলটির গায়ে কাঁদা মেখে দেয়। পরে বিষয়টি হুমায়ুন জানার জন্য মন্টু জোমাদ্দারের কাছে যায়। এ সময় উভয়ের মধ্যে কথার কাটা শুরু হলে জাকির তার প্রতিবাদ করেন। এতে প্রতিপক্ষ মন্টু জোমাদ্দার আরো ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। পরবর্তীতে একই দিন সন্ধ্যায় শালিস মিমাংশার কথা বলে মন্টু জোমাদ্দার কৃষক জাকির হোসেনকে তার বাড়ি থেকে ডেকে উপজেলার পল্লীমঙ্গল এলাকায় তার ভাই সেলিম জোমাদ্দারের দোকানে নিয়ে যায়। বিষয়টি নিয়ে সেখানে পূনরায় উভয় পক্ষের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ শুরু হলে মন্টুর নেতৃত্বে তার ভাই সেন্টু জোমাদ্দার (৪২), সেলিম জোমাদ্দার (৫৬) এবং মন্টুর শ্যালক মোড়েলগঞ্জ উপজেলার নিশান বাড়িয়া এলাকার বাসিন্দা মোঃ মিলন খান (৩৩) ও মোঃ সোহেল খান (৩২) সহ ৭/৮ জন জোটবদ্ব হয়ে জাকিরকে বেধাড়ক পিটিয়ে মুমুর্ষ অবস্থায় পাশ্ববর্তী সড়কে ফেলে দেয়। খবর পেয়ে জাকিরের পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে তাৎক্ষনিক শরণখোলা স্বাস্থ্য কমম্পেøক্সে ভর্তি করেন। ওই দিন সন্ধ্যা (অনুমান) সাতটার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত: ঘোষনা করেন। শরণখোলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস কে আব্দুল্লাহ আল সাইদ জানান, নিহতের স্ত্রী শিউলী বেগম বাদী হয়ে সাত জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দ্বায়ের করেছেন । এবং ইতিমধ্যে দু-জনকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে । এছাড়া অন্য আসামীদের ধরতে অভিযান চলছে।