রোববার স্থানীয় সময় ভোর ৪টা ১০ মিনিটের দিকে হামলা চালায় আজারবাইজান বলেছেন,আর্মেনিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী। জবাবে আর্মেনিয়ার বাহিনী প্রতিপক্ষের দুটি হেলিকপ্টার এবং তিনটি ড্রোন ভূপাতিত করেছে।
আজারবাইজানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, আর্মেনিয়ার আক্রমণ প্রতিহত করে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিতের লক্ষ্যে তারা পাল্টা আক্রমণ চালিয়েছে।
এ সময় তারা ট্যাংক, আর্টিলারি মিসাইল, যুদ্ধবিমান এবং ড্রোন ব্যবহার করেছে। মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আজারবাইজানের হেলিকপ্টার ভূপাতিত করা হলেও ক্রুরা জীবিত আছেন।
আজারবাইজানের প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র হিকমেত হাজিয়েভ এক বিবৃতিতে বলেন, হতাহতদের মধ্যে সাধারণ মানুষ এবং সামরিক বাহিনীর সদস্যরাও রয়েছে।
স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, ওই অঞ্চলের সাধারণ মানুষ হতাহত হয়েছে। সেখানে সামরিক আইন জারি ছিল। পরে পুরো এলাকা সামরিকীকরণ করা হয়েছে।
আলাদা বিবৃতিতে আর্মেনিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানান, নাগরনো-কারাবাখ অঞ্চলে আর্মিনিয়ার এক নারী এবং এক শিশু নিহত হয়েছে।
দীর্ঘকাল ধরে চলমান সংঘাত পর্যবেক্ষণ করছেন আল-জাজিরার রবিন ফরস্টিয়ার-ওয়াকার। রোববারের ঘটনাকে অত্যন্ত গুরুতর সংঘাত বলে বর্ণনা করেছেন তিনি।
১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার পর আর্মেনিয়ারা ওই অঞ্চলে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। ওই যুদ্ধে কারবাখকে, বাকু থেকে দখল করে নেয় তারা। সে সময় ৩০ হাজার মানুষ নিহত হয়।
১৯৯৪ সালে যুদ্ধবিরতিতে একমত হয় আজারবাইজান-আর্মেনিয়া। তবে নাগরনো-কারাবাখ অঞ্চল এবং আর্মেনিয়া-আজারবাইজান সীমান্তে হামলার জন্য একে অপরকে দোষারোপ করে আসছিল দু’পক্ষ।
নাগরনো-কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে আর্মেনিয়া-আজারবাইজানের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে সংঘাত চলছে। চিরশত্রু দু’দেশের মধ্যকার নতুন সংঘাত আরও ভয়াবহ রূপ ধারণ করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
নাগরনো-কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে বিতর্ক নিরসনে আলোচনা, যুদ্ধবিরতি চুক্তির পর মূলত থেমে যায়। ফ্রান্স, রাশিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রসহ গঠিত মিনসক গ্রুপ সংকট সমাধানে মধ্যস্থতার জন্য চেষ্টা করেছে। কিন্তু ২০১০ সালে শান্তি চুক্তির বড় একটি প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়।
অতিসত্বর যুদ্ধবিরতি এবং আলোচনা শুরুর আহ্বান জানিয়েছে রাশিয়া।