১৯৭১ সালে কানাডাই বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে ঘোষণা দেয় মাল্টিকালচারিজমের, যার মূলমন্ত্র হলো সব নাগরিকের থাকবে সমান অধিকার ও দায়িত্ব।
ফলে জন্মলগ্ন থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে ১৭ মিলিয়নের বেশি লোক অভিবাসী হয়েছে।
এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্র থেকে কানাডায় স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য আবেদন করেছিলেন ৬ হাজার ৮শ জন। আর ২০২০ সালের আগস্ট পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব ছেড়ে কানাডায় আসার জন্য আবেদন পড়েছে ৮ হাজার ৭শ জনের।
কানাডার ইমিগ্রেশন সংস্থার হিসাব অনুযায়ী, প্রতিবছর প্রায় আড়াই লাখ অভিবাসন প্রত্যাশী পাড়ি দেয় কানাডায়।
এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, কানাডার বিচারব্যবস্থা, নির্বাচনী প্রক্রিয়া, শিক্ষাব্যবস্থা, চিকিৎসা যোগাযোগব্যবস্থা, জীবনের নিরাপত্তা, স্থিতিশীল অর্থনীতি, শক্তিশালী ব্যাংকিং ব্যবস্থার কারণে দেশ হিসেবে বিশ্বের সবার কাছে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছে।
অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে কানাডায় ইমিগ্রেশন নিতে চায় এমন অনেকগুলো কারণ রয়েছে।
যেমন তাদের পরিবারগুলোর জন্য আরও ভাল ভবিষ্যত তৈরি করা, একটি ভাল কাজের-জীবন ভারসাম্য তৈরি করা, তাদের পড়াশোনা আরও বাড়ানো বা কেবল শহর জীবনের ঝামেলা থেকে বাঁচার জন্য।
কানাডায় অভিবাসনের জন্য যেকোন ব্যক্তিগত কারণেই বিশ্বের অন্যান্য দেশ থেকে পাড়ি জমানোর চেয়ে যুক্তরাষ্ট্র থেকে কানাডা চলে যাওয়া অনেক সহজ।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ট্রাম্প সরকারের বহুজাতিক সংস্কৃতির প্রতি তার বিরুপ সমালোচনা, ধর্মনিরপেক্ষতা ও বিভিন্ন ধর্মীয় বিশ্বাসের প্রতি তার আক্রমণাত্মক মনোভাব, ইমিগ্র্যান্টদের প্রতি তার বৈষম্যমূলক দৃষ্টিভঙ্গি,
মেডিকেলসহ চিকিৎসা বীমায় সরকারি সহায়তার ক্ষেত্রে নানাবিধ শর্তারোপ, বর্ণবাদী ধারার উত্থান ইত্যাদি কারণে মূলত মার্কিনীরা কানাডার নাগরিক হওয়ার দিকে ঝুঁকে পড়ছে।
কানাডায় ২০১৫ সালের তুলনায় ২০২০ সালের প্রথম আট মাসে নাগরিক হওয়ার আবেদন বেড়ে যায় দুই হাজার।