প্রেমের মরা জলে ডুবে না, ডুবেনি ইতালিতে।

0
55

ভূমধ্যসাগরের জলের গভীরতা আর আল্পস পর্বতমালার উচ্চতাকে রাজসাক্ষী করে করোনাকালে এভাবেই বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলেন দোমেনিকো-সুমাইয়ারা। ইতালিয়ান-বাংলাদেশি ভিন্ন সংস্কৃতির দুই প্রেমিক-প্রেমিকার সফল প্রণয়ের নান্দনিক পরিণয় সম্পন্ন হলো ১৪ সেপ্টেম্বর সোমবার দক্ষিণ ইতালির কাম্পানিয়া বিভাগের সালের্নো প্রভিন্সের মাইওরি পৌর এলাকায়। ইতালিয়ান বিভিন্ন নিউজ পোর্টাল এবং সামাজিক মাধ্যমে ইতোমধ্যে প্রশংসায় ভেসেছেন নবদম্পতি।

বর দোমেনিকো তামবুররিনো ইতালীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ প্যারামিলিটারি পুলিশ ফোর্স ‘ক্যারাবিনিয়ারি’র মার্শাল হিসেবে কর্মরত উত্তর-পশ্চিম ইতালির পিয়েমন্তে বিভাগের তুরিন (তোরিনো) প্রভিন্সে। ইতালিয়ান গণমাধ্যমের ভাষ্য অনুযায়ী ‘প্রাচ্যের সুন্দরী রাজকুমারী’ ২৫ বছর বয়সী বাংলাদেশি যুবতী সুমাইয়ারা তুরিন সিটির পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে অধ্যয়নরত অবস্থায় প্রথম পরিচয় দোমেনিকো’র সাথে। আল্পসের পাদদেশে ইতালির প্রাচীন রাজধানী তুরিনে ধীরে ধীরে তাঁদের ভালো লাগা থেকে ভালোবাসা।

আড়ম্বরপূর্ণ বিয়ের অনুষ্ঠানে পাত্র দোমেনিকো তাঁর বিখ্যাত বাহিনীর গৌরবের ইউনিফর্ম পরিধান করলেও আগুণঝড়া লাল রঙা শাড়িতে বাজিমাত করে দেন বাংলাদেশি বধু সুমাইয়ারা। মহামারি জনিত ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার কারণে কনের পরিবারের কেউই বাংলাদেশ থেকে ইতালিতে আসতে পারেনি সাগরপাড়ে জাঁকজমক বিয়ের অনুষ্ঠানে। বান্ধবীরাই হয়েছেন বিয়ের অফিসিয়াল সাক্ষী। বিবাহ পরবর্তী ধুমধামে উৎসবের ২য় পর্বে যোগ দিতে ‘ক্যারাবিনিয়ারি’ অফিসার দোমেনিকো অচিরেই সস্ত্রীক উড়ে যাবেন বঙ্গোপসাগর তীরে বাংলাদেশে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here