ডেস্ক রিপোর্ট. যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যে করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে জারি করা হচ্ছে রাত্রিকালীন কারফিউ। যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিমাঞ্চলীয় এই অঙ্গরাজ্যে সম্প্রতি করোনার সংক্রমণ গত আগস্টের সর্বাধিক সংখ্যাকেও ছাড়িয়ে গেছে।করোনার ক্রমবর্ধমান সংক্রমণ ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যে স্থানীয় সময় শনিবার (বাংলাদেশ সময় গত রোববার বেলা ১২টা) থেকে রাত্রিকালীন কারফিউ শুরু হতে যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের বৃহৎ এই অঙ্গরাজ্যটিতে আগামী ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত রাত ১০টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত কারফিউ জারি থাকবে। পরবর্তী সময়ে করোনার সংক্রমণ পর্যবেক্ষণ করে প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী এই কারফিউ বাড়ানোও হতে পারে। সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। এক বিবৃতিতে ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গ্যাভিন নিউসম বলেন, ‘মহামারি শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত এত দ্রুতগতিতে ভাইরাস ছড়াতে দেখিনি আমরা। পরবর্তী কয়েকটা দিন বা সপ্তাহ আমাদের জন্য বেশ কঠিন হবে।’ গত দুই সপ্তাহে হাসপাতালে ভর্তির হার ৬১ শতাংশ হারে বেড়েছে। ক্যালিফোর্নিয়ায় মোট করোনা রোগীর সংখ্যাও ১০ লাখ ছাড়িয়েছে। ক্যালিফোর্নিয়া বাদে শুধু টেক্সাসে করোনা রোগী ১০ লাখ ছাড়িয়েছে। সম্প্রতি কোভিড-১৯ রোগে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা দুই হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর আগে গত মে মাসে দৈনিক দুই হাজারের বেশি করোনা রোগীর মৃত্যু দেখেছিল যুক্তরাষ্ট্র। একদিনে সর্বাধিক করোনা সংক্রমণের রেকর্ড ছাড়িয়েছে গত শুক্রবার। এদিন যুক্তরাষ্ট্রে এক লাখ ৮৭ হাজার করোনা রোগী শনাক্ত করা হয়। শুরু থেকে এ পর্যন্ত একদিনে এত বেশি করোনা রোগী চিহ্নিত হয়নি যুক্তরাষ্ট্রে। এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের আরেক বড় অঙ্গরাজ্য ওহাইওতেও রাত্রিকালীন কারফিউ জারি করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার শুরু হওয়া এই অঙ্গরাজ্যের কারফিউ ২১ দিন চলবে। যুক্তরাষ্ট্রে সংক্রমণ প্রতিরোধে আর লকডাউন চান না নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। মাস্কের ওপরই ভরসা রাখছেন তিনি। এদিকে আসছে শীতে যুক্তরাষ্ট্রে একদিনেই দুই লাখ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হতে পারে—এমন সতর্কবার্তা দিয়ে সবাইকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন সদ্য নিয়োগ পাওয়া বাইডেনের করোনাবিষয়ক উপদেষ্টা ডা. মাইকেল অস্টারহোম। কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে মাস্ক ব্যবহারে নতুন করে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া সংক্রমণ ঠেকাতে ২৬ নভেম্বর থ্যাংসগিভিং ডে উপলক্ষে ভ্রমণ এড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে দেশটির রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র (সিডিসি)।