আশঙ্কা করা হচ্ছে বিশ্বে আরো ভয়ংকর মহামারী আসতে পারে। সারা বিশ্ব এখন করোনা মহামারীতে বিপর্যস্ত। কিন্তু তার জন্য প্রস্তুতি খুবই সামান্য বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও বিশ্ব ব্যাংকের সৃষ্ট একটি স্বাধীন সংস্থা গ্লোবাল প্রিপার্ডনেস মনিটরিং বোর্ড (জিপিএমবি) এর নতুন একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে,কোভিড- ১৯ মহামারী বিশ্বের প্রস্তুতির জন্য একটি কঠোর পরীক্ষা হিসেবে দেখা দিয়েছে। গত বছর কোভিড- ১৯ মহামারী শুরুর আগে প্রাথমিক যে রিপোর্ট দেয়া হয়েছিল তার পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ব খুব সামান্যই প্রস্তুতি নেয়।
সেখানে আরো বলা হয়, করোনা ভাইরাস আমাদের দেখিয়ে দিয়েছে এ ধরণের অবস্থা মোকাবেলার জন্য বিশ্ব কতোটা কম প্রস্তুত। যদিও বারবার বলা হচ্ছে আরও বড় ধরনের মহামারী আসন্ন।
রিপোর্টে সতর্ক করে বলা হয়, কোভিড -১৯ থেকে শিক্ষা নেয়া কিংবা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ ও অঙ্গীকার গ্রহণের ব্যর্থতার মানে পরবর্তী মহামারী যা অবশ্যই বিশ্বে হানা দেবে তা অনেক বেশি ভয়ংকর হবে।
সোমবার রিপোর্টটি ভার্চুয়ালি উত্থাপনকালে জিপিএমবি’র কো চেয়ার ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাবেক প্রধান গ্রো হারলেম ব্রুন্ডল্যান্ড জোর দিয়ে বলেন, মহামারীর জন্য খুব কম প্রস্তুতির বিষয়ে এক বছর আগেই এই বোর্ড থেকে সতর্ক করা হয়েছিল। আজ আমরা আমাদের আশংকারই প্রতিফলন দেখছি।
তিনি আরো বলেন, আমাদের ধারণার চেয়েও কোভিড- ১৯ এর প্রভাব ভয়ংকর হয়েছে। কিন্তু আমাদের আহ্বান সত্ত্বেও পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে নূন্যতম।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বর্তমান প্রধান টেড্রস আধানম গ্যাব্রিয়েসুস বলেন, স্বাস্থ্য ও প্রস্তুতির বিষয়ে বিনিয়োগ কোন দান নয়, এটি আমাদের ভবিষ্যতের জন্য বিনিয়োগ। এটিই শেষ মহামারী নয়। আরো মহামারী আসবে। তবে কখন তা আমরা জানি না। কিন্তু অবশ্যই আসবে এবং আমাদেরকে তার জন্য প্রস্তুত থাকতেই হবে।
বিশ্বে করোনা ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা প্রায় ১০ লাখের কাছাকাছি পৌঁছার প্রেক্ষাপটে রিপোর্টটি প্রকাশ করা
হয়েছে। রিপোর্টে জাতিসংঘ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও বিশ্ব ব্যাংকের মতো আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিশ্ব স্বাস্থ্য বিষয়ে বৈঠকে বসার আহ্বান জানানো হয়েছে, যাতে জরুরি প্রস্তুতি ও মোকাবেলার জন্য আন্তর্জাতিক কাঠামোর বিষয়ে একমত হওয়া যায়।