তাজুল ইসলাম তারেক, সিঙ্গাপুর প্রতিনিধিঃ
বিস্তারিতঃ ১৯৭৫ সালের ৯ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, শেল অয়েল কোম্পানির কাছ থেকে মাত্র ৪ দশমিক ৫ মিলিয়ন পাউন্ড স্টার্লিং দিয়ে তখনকার সময় ১৭-১৮ কোঠি টাকায় পাঁচটি(৫) গ্যাসক্ষেত্র তিতাস, বাখরাবাদ,হবিগঞ্জ,রশিদপুর ও কৈলাশটিলা কিনে রাষ্ট্রীয়করণ করে বিশ্ব ইতিহাসে বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। মৃত্যুর ছয়দিন আগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যেই যুগান্তকারী ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তা শুধু বাংলাদেশ নয় পুরো পৃথিবীতে বিরল দৃষ্টান্ত। এত কম মূল্যে পাঁচটি প্রতিষ্ঠান একই সাথে সরকারিকরণ করা সত্যি দেশাত্মবোধের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। তারই ধারাবাহিকতায় জাতির জনকের কন্যা যোগ্য উত্তরসূরী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার হাত ধরে, এখনো বর্তমানে দেশের মোট উৎপাদনের ৩১ দশমিক ৪৪ শতাংশ জ্বালানি, নামমাত্র মূল্যে কেনা এই গ্যাসক্ষেত্রগুলো থেকে পাওয়া যায়।
সুজিত রায় নন্দী বলেন যদি সেদিন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই গ্যাস ক্ষেত্র গুলো রাষ্ট্রীয় করন না করতেন, তাহলে এই জ্বালানি নির্ভর পৃথিবীতে টিকে থাকাটাই অনেক কষ্টসাধ্য হয়ে যেত। পুরো বিশ্ব আজ জ্বালানি নির্ভরশীল। যে দেশ যত বেশি জ্বালানি সম্পদে স্বয়ংসম্পূর্ণ সেই দেশ ততবেশি অগ্রগামী। গ্যাস নামমাত্র মূল্যে ক্রয় করতে পারা যায় বিধায় বাংলাদেশে কল কারখানা ইন্ডাস্ট্রিজ বৃদ্ধি পেয়েছে। বেকারত্ব দূর হয়েছে। অর্থনীতির চাকা সচল রয়েছে।
সুজিত রায় নন্দী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দেশ স্বাধীন হয়েছে। আমরা পেয়েছি লাল-সবুজের একটি পতাকা ও ভূখণ্ড। বঙ্গবন্ধুর সুদূর চিন্তা চেতনা থেকে উপলব্ধি করেছেন বাংলাদেশকে কিভাবে একটি স্বয়ংসম্পন্ন রাষ্ট্রে পরিণত করা যায়। ঠিক তেমনিভাবে আমাদের মমতাময়ী মা জননেত্রী শেখ হাসিনা বাবার পথ ধরে দেশকে একটি আধুনিক স্বয়ংসম্পূর্ণ আত্মমর্যাদাশীল উন্নত রাষ্ট্র গঠন ও পরিচালনায় বদ্ধপরিকর। গ্যাস বিদ্যুৎ ও নিরাপদপানি বাংলাদেশ আজ স্বয়ংসম্পূর্ণ।
পরিশেষে সুজিত রায় নন্দী বলেন আজ এই জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তা দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতি কৃতজ্ঞতা এবং তার আত্মার শান্তি কামনা করি। সেই সাথে তার রেখে যাওয়া দুই কন্যা’র সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করি, তারা যেন বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে দেশকে সু-সংগঠিত করতে পারেন।