সরকারের নির্দেশিত লকডাউন মানছে না দেশবাসী। নাগরিকদের জন্য সুস্পষ্ট অর্থনৈতিক সহযোগিতা না থাকায় এমন নির্দেশনা অকার্যকর হয়ে পড়েছে।
সারাদেশে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, দোকানপাট খোলা রয়েছে। ঢাকা শহরের বিভিন্ন ব্যস্ত এলাকায় যানজট দেখা গিয়েছে। লকডাউনের প্রথম দুই দিন গণপরিবহন ব্যতীত সব ধরনের যানবাহন চলেছে। ঢাকা, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, সিলেট, রংপুর, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল বিভাগীয় শহরে ব্যবসায়ীরা লকডাউনের বিরুদ্ধে রাস্তায় বিক্ষোভ করেছে। লকডাউন ঘোষণার ফলে সব ধরণের নিত্যপণ্যের দাম আরেক দফা বেড়েছে।
গণপরিবহন বন্ধ থাকায় মানুষকে তাঁর কর্মস্থলে যেতে অন্যসব পরিবহণ ব্যবহার করতে হয়েছে বাড়তি ভাড়ায়। সঠিক পরিকল্পনার অভাবে সরকার ঘোষিত লকডাউন ভেস্তে গেছে। কলকারখানা, অফিস আদালত খোলা রেখে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় মানুষদেরকে বাড়তি ভাড়া দিয়ে কর্মস্থলে যেতে হয়েছে। অগণিত মানুষ যানবাহন না পেয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে। নিত্যপণ্যের দাম যাতে না বাড়ে সেই ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। ফলে দ্রব্যমূল্যের দাম আরেক দফা বেড়েছে। এমনিতেই ইতোমধ্যে এই নতুন বছরে কয়েক দফা বেড়েছে সব প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রীর। দিনে আয় করে দিনে খায়, এইসব মানুষদের খাবারের কোন চিন্তা নেই সরকারের।
ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলে প্রতিষ্ঠান ভাড়া ও কর্মচারিদের বেতন কিভাবে দিবে সেই চিন্তাও করেনি সরকার। মধ্যবিত্ত ও গরীব জনগোষ্ঠীরা কিভাবে বাসাভাড়া ও দৈনন্দিন জীবিকা নির্বাহ করবে তারও কোন পরিকল্পনা গ্রহন করেনি সরকার। এই পরিস্থিতিকে দৈনিক মানবজমিন সংবাদ শিরোনাম করেছে, লেজেগোবরে অবস্থা। বিবিসি বাংলা ‘বাংলাদেশে লকডাউন অকার্যকর হয়ে পড়ছে’ বলে সংবাদ প্রকাশ করেছে।
#Covid19 #কোভিড১৯ #CoronavirusPandemic #করোনাভাইরাসবিশ্বমহামারি #বাংলাদেশ #Bangladesh #FailedAwamiGovt #ব্যর্থআওয়ামীসরকার