বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯-এর সংক্রমণের কারণে জাতিসংঘের ৭৫ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম বিশ্ব নেতৃবৃন্দ বিশ্বের সর্বোচ্চ ফোরাম জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ভার্চুয়াল অধিবেশনে অংশ নিচ্ছেন।
রাষ্ট্রীয় বার্তা সংবাদ সংস্থা বাসস এ খবর জানিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৭৫তম অধিবেশনে আগে থেকে রেকর্ড করা ভার্চুয়াল ভাষণ দেবেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় এবং স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় (নিউইয়র্ক সময়) জাতিসংঘ সদর দপ্তরে সাধারণ পরিষদে তার পূর্বনির্ধারিত রেকর্ড করা ভাষণ দেবেন।প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম শুক্রবার জানান,
প্রধানমন্ত্রী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পদাঙ্ক অনুসরণ করে প্রতিবছরের মতো এ বছরও বাংলায় এ ভাষণ দেবেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ২৯তম অধিবেশনে প্রথম বাংলায় ভাষণ দিয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করেছিলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন গত ২১ সেপ্টেম্বর এক ভার্চুয়াল প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার ভাষণে কোভিড-১৯ সংক্রমণ, রোহিঙ্গা সংকট, জলবায়ুসহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরবেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে কোভিড-১৯ সংক্রমণ পরিস্থিতি, ভ্যাকসিনের সমবণ্টন এবং প্রবাসী শ্রমিক ও রেমিট্যান্সের ওপর এর প্রভাব তুলে ধরবেন। এ ছাড়া তিনি জলবায়ু ভালনারেবল ফোরামের সভাপতি হিসেবে জলবায়ু ইস্যুটিও তুলে ধরবেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী ভাষণে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে পাশে থাকতে এবং এ সমস্যা সমাধানে তার দেওয়া চার দফা প্রস্তাবের ভিত্তিতে সংকট নিরসনে সবার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানাবেন। প্রধানমন্ত্রী এর আগে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৪তম অধিবেশনে এই চার দফা প্রস্তাব পেশ করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো জানান, পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী কোভিড-১৯ পরিস্থিতি মোকাবিলায় বাংলাদেশের সাফল্য, এসডিজি বাস্তবায়ন, নারীর ক্ষমতায়ন ও অধিকার প্রতিষ্ঠা, দারিদ্র্য বিমোচন, সন্ত্রাস দমন, মাদক চোরাচালান বন্ধ, অর্থনৈতিক অগ্রগতি, টেকসই গণতন্ত্র, সুশাসন ও বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের ভূমিকা তার ভাষণে তুলে ধরবেন।
গত ২১ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৫তম অধিবেশন ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে শুরু হয়েছে। এ বছরের প্রতিপাদ্য ‘আমরা ভবিষ্যৎ চাই, জাতিসংঘ আমাদের প্রয়োজন : বহুমুখিতার প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্নিশ্চিতের মাধ্যমে’।