করোনা আর বন্যার কারনে হুমকির মুখে টাংগাইলের তাতঁশিল্প;

0
34

মোঃতারেক ইসলাম সিয়াম, টাংগাইলে প্রতিনিধিঃ

বিস্তারিত :
টাংগাইলে করোনা পরিস্থিতি আর ভয়াবহ বন্যায় টাঙ্গাইলের তাঁত শিল্প হুমকির মুখে পড়েছে তাতঁরা। ভয়াবহ বন্যায় তাঁত ঘর তলিয়ে তাঁতের মূল্যবান যন্ত্রাংশ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তাঁত মালিকদের আর্থিক ক্ষতির পাশাপাশি হাজার হাজার শ্রমিক বেকার হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। এঅবস্থায় সরকারি সহায়তা চান তাঁত মালিকরা।অনেক ক্ষতির মুখে আসে।
টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার বাথুলী সাদী এলাকার তাঁত মালিক বাদল মিয়া। বিভিন্ন এনজিও এবং ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে বাড়িতে ২৫টি তাঁত গড়ে তুলেন। গত ৪ মাস যাবৎ করোনা পরিস্থিতিতে কাপড় উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। তিনি অনক
ক্ষতির মধ্যে আসে তিনি।
এর মধ্যেই ভয়াবহ বন্যায় ১ মাস যাবৎ তাঁতগুলো পানিতে তলিয়ে নষ্ট হচ্ছে মূল্যবান যন্ত্রাংশ। তার দাবি, পুনরায় কাপড় উৎপাদন করতে প্রতিটি তাঁতে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা খরচ করতে হবে।
তাঁত মালিক বাদল মিয়া বলেন, ২৫ টা তাঁতে কমপক্ষে ৪ থেকে ৫ লাখ টাকা মেরামত করতে লাগবে।
টাংগাইলে অনেক তাতঁ শল্পি
বাদল মিয়ার মতো টাঙ্গাইলের বাসাইল, কালিহাতি,দেলদুয়ার ও টাঙ্গাইল সদর উপজেলার হাজার হাজার তাঁত মালিকেরও একই অবস্থা। বেশিরভাগ তাঁতঘরই পানিতে তলিয়ে। এই শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে সরকারি প্রণোদনার দাবি তাঁত মালিকদের।
বিভিন্ন তাঁত মালিকরা বলেন, গরীব তাঁতিরা কাজ করতে পারছে না, ঘরে পানি উঠে গেছে। টাঙ্গাইলের তাঁতশিল্পকে আবার আগের জায়গায় ফিরিয়ে আনতে হলে এখানে প্রচুর পরিমাণ সরকারি প্রণোদনা ছাড়া আমাদের তাঁতশিল্পকে আমরা বাঁচিয়ে তুলতে পারবো না।
এদিকে শ্রমিকরা গত ৫ মাস ধরে কর্মহীন হওয়ায় পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। তারা অনেক ক্ষতির মধ্যে আসে
কর্মহীন একজন শ্রমিক বলেন, রুজিরোজগার করে যা আয় উপার্জন ছিলো সেটুকু সব শেষ হয়ে গেছে। এখন টাকা ও নেই আমরা না খেয়ে থাকি। যেখানে আমরা ৩ বেলা খেতাম সেখানে আমরা এখন ১ বেলা অথবা ২ বেলা খেয়ে বেঁচে আছি। কষ্ট আসে শ্মমিকারে
টাঙ্গাইল তাঁত বোর্ডের লিয়াঁজো অফিসার জানান, ক্ষতিগ্রস্ত তাঁত মালিকদের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। বাংলাদেশ তাতঁ বোড টাংগাইলে লিয়াজো অফিসার রবিউল ইসলাম।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here