মিমি চক্রবর্তী একাধারে অভিনেত্রী ও ভারতের তৃণমূল সাংসদ।চলেন সরকারি গাড়িতে ক্ষমতা কিছুটা হলেও বেড়েছে। । আর তার সঙ্গে অপরাধ করে অপরাধী দ্রুত শাস্তি পাবেন না তা কি হয়। তাইতো । অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করায় ট্যাক্সিচালক মাফ পাননি দ্রুত ঢুকেছেন হাজতে।
ঘটনা খুলে বলা যাক, জিম থেকে বাড়ি ফিরছিলেন মিমি চক্রবর্তী। গাড়ির কাচ ছিল নামানো। হঠাৎ একটি ট্যাক্সি তার গাড়িকে ওভারটেক করে। তিনি খেয়াল করেন, পাশে দাঁড়ানো ট্যাক্সিটির চালক তার দিকে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করছেন। চটে যান অভিনেত্রী। গাড়ি থেকে নেমে ট্যাক্সিচালককের ঘাড় ধরে রাস্তায় নামান। যোগাযোগ করেন পুলিশের সঙ্গে। পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে ঘটনা জেনে অভিযুক্ত চালকের খোঁজ করেন। রাতেই তাকে গ্রেপ্তার করেন তাকে।
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাতে ঘটেছে এমন ঘটনা। ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজারকে মিমি বলেন, সরকারি গাড়ি দেখেও যদি ট্যাক্সিচালক তার আরোহীকে উদ্দেশ্য করে প্রকাশ্যে এমন অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি ও মন্তব্য করতে পারেন, তাহলে সাধারণ মানুষের কী অবস্থা হতে পারে! সে কারণে কালক্ষেপণ না করে গাড়ি থেকে নেমে প্রতিবাদ করেছি এবং পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছি।
ভারতীয় পুলিশ জানায়, সোমবার রাত ১টার দিকে বালিগঞ্জ ফাঁড়ির কাছে ক্রমাগত হর্ন দিতে দিতে মিমির গাড়িকে ওভারটেক করে একটি ট্যাক্সি। মিমি গাড়ি থেকে নেমে ট্যাক্সিটি দাঁড় করান। তখন ট্যাক্সিচালক মিমির উদ্দেশে অনবরত কটূক্তি করে। অশ্লীল অঙ্গভঙ্গিও করে। সাংসদ দ্রুত এক কর্তব্যরত সার্জেন্টের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ওই সার্জেন্ট আধা ঘণ্টার মধ্যে ট্যাক্সিসহ চালককে আটক করেন। ওই চালকের নাম দেবা যাদব। বয়স ৩২ বছর। তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বাইপাসের ধারে আনন্দপুর থানা এলাকা থেকে। ধৃতের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানি, অশ্লীল ইঙ্গিত এবং কটূক্তির ধারায় গড়িয়াহাট থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগেও মিমি এমন প্রতিবাদী ভূমিকায় নেমেছেন। বছর চারেক আগে এক পথচারীকে একটি বাইক ধাক্কা মেরে হিঁচড়ে নিয়ে যাচ্ছে দেখে মিমি গাড়ি থামিয়ে রুখে দাঁড়ান। বাইক আরোহীকে থামিয়ে তাকে রাস্তাতেই নামিয়ে তৎক্ষণাৎ মারপিট করে পুলিশ ডাকেন।