কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি, রাজারহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে করোনার টিকা নেয়া মানুষের সংখ্যা বেড়েছে। শুরুর দিকে যারা টিকার ব্যাপারে অনাগ্রহ দেখাতেন তারাও কীভাবে কোথায় টিকা নেয়া যায় এর খোঁজ নিচ্ছেন। তথ্যমতে জানা যায়-কার্যক্রম শুরুর,, ০৭-০২-২১-১৯জন ০৮-০২-২১-৮৯জন ০৯-০২-২১-৫৭জন ১০-০২-২১-৫০জন ১১-০২-২১-১২০জন ১৩-০২-২১-১৪৯জন আজ কোভিড-১৯ টিকাদান এর ষষ্ট দিনে সর্বমোট-৪৮৫ জন টিকা নিয়েছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র জানায়, রাজারহাট উপজেলায় প্রথমদিন করোনা রোধী ভ্যাকসিন নেন ১৯ জন। আজ শনিবার পর্যন্ত করোনার ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছেন সর্বমোট ৪ শত ৮৫ জন। টিকা নেয়ার পর সবাই সুস্থ আছেন, ভালো আছেন বলে জানিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও প:প:কর্মকর্তা ডা.মোঃ আসাদুজ্জামান জুয়েল। তবে টিকা নিতে অনলাইন নিবন্ধনের ‘সুরক্ষা অ্যাপে’র সার্ভারে সমস্যার কারণে অনেকে রেজিস্ট্রেশন করতে গিয়ে বিড়ম্বনায় পড়ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অন্যদিকে নানা আলোচনা সমালোচনার মধ্যেও টিকা নিতে মানুষের আগ্রহ বাড়ছে। করোনার সংক্রমণের হারও কমতে শুরু করেছে।
তারপরও স্বাস্থ্য বিভাগ সবাইকে টিকা নেয়ার পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশনা দিয়েছে। (১১ফেব্রুয়ারি) বৃহস্পতিবার রাজারহাট হাসপাতালের টিকাদান কেন্দ্র ঘুরে দেখা যায় উৎসাহ-উদ্দীপনার পাশাপাশি সুশৃঙ্খলভাবে মানুষ টিকা গ্রহণ করছেন। অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তি, চাকুরীজীবী,ব্যবসায়ী ও ডায়াবেটিস রোগী টিকা নেয়ায় মানুষের মাঝে ভয় ও জড়তা কেটে গেছে। রাজারহাট থানার ডিএসবি এএসআই মাসুদ রানা বলেন-রাজারহাট হাসপাতালে টিকাদান কেন্দ্রে গিয়ে টিকা গ্রহণ করেছি। আমার ডায়াবেটিস থাকলেও কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া অনুভব করছি না। আমি টিকা নিয়ে সুস্থই আছি, ভালোও লাগছে। তিনি বলেন,রাজারহাট হাসপাতালের টিকাদান কেন্দ্রে সুশৃঙ্খল পরিবেশ দেখে আমার খুবই ভালো লেগেছে।
সেখানে নিয়োজিত স্বেচ্ছাসেবক, টিকাদান কারী এবং স্বাস্থ্যবিভাগের সংশ্লিষ্টরা হেল্পফুল। টিকাদান কেন্দ্রে ভিড় থাকলেও অব্যবস্থাপনা ছিল না। আমি মনে করি কোনো দ্বিধা-ভয় না রেখে আমাদের প্রত্যেককেই ভ্যাকসিন গ্রহণ করা উচিত। দ্রুততম সময়ে দেশবাসীর জন্য ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা করায় আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ এবং আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই। প্রীতিময় সোহেল রানা বলেন, মহামারি করোনা থেকে মুক্তি পেতে সুরক্ষার জন্য সারাবিশ্বেই এই ভ্যাকসিন নিচ্ছে মানুষ। কিন্তু আমাদের দেশের একটি গোষ্ঠী এ নিয়ে অপপ্রচার করছে। তবে এখন সমাজের সব শ্রেণির মানুষের ভীতি দূর হচ্ছে। তারা গুজবে কান না দিয়ে ভ্যাকসিন নিচ্ছেন। মোঃ রেজাউল হাসান বলেন, টিকা নেয়ার পর আমি সম্পূর্ণ সুস্থ আছি।আমি জনগণকে ভ্যাকসিন নেয়ার জন্য বিনীত অনুরোধ করছি।
অপপ্রচারকারীরা যেন নেতিবাচক অপপ্রচার চালাতে না পারে এজন্যই আগে টিকা গ্রহণ করেছি। সবাইকে বলতে চাই, আমি আগে টিকা নিলাম এবং ভালো আছি। আপনারা সবাই টিকা নিন। রাজারহাট উপজেলা স্বাস্থ্য ও প:প: কর্মকর্তা ডা. মোঃ আসাদুজ্জামান জুয়েল বলেন-করোনার টিকা নিতে মানুষজন আগ্রহ দেখাচ্ছেন। দিনে দিনে টিকা গ্রহণকারীর সংখ্যাও বেড়েছে। সবাইকে টিকা নেয়ার পরামর্শ দিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও প:প: কর্মকর্তা ডা.মোঃ আসাদুজ্জামান জুয়েল আরও বলেন,করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষার জন্য টিকার বিকল্প নেই।টিকা নিতে হবে আমাদের সবাইকে।উদ্বোধনের দিন থেকে উপজেলায় আজ পর্যন্ত ৪ শত ৮৫ জন মানুষ ভ্যাকসিন নিয়েছেন।