জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, কুয়াকাটা- কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
পটুয়াখালী জেলায় অবস্থিত বাংলাদেশ অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র সাগরকন্যা কুয়াকাটা, অনেকদিন যাবত সাগরের পানির স্রোত অতিরিক্ত থাকায়, নষ্ট হয়ে গেছে সমুদ্র কন্যা কুয়াকাটার মানচিত্র, ভেসে গেছে শত শত পর্যটক ব্যবসায়ীদের স্বপ্ন, সমুদ্র কন্যা কুয়াকাটার মানচিত্র টিকিয়ে রাখতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে কুয়াকাটার ভাঙ্গনের চিত্রকে তুলে ধরতে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রীর সামনে মানববন্ধন করেন। ভাঙ্গন রক্ষার দাবিতে মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন কুয়াকাটা পৌর আওয়ামীলীগ, কুয়াকাটা টুরিজম ম্যানেজমেন্ট এসোসিয়েশন (কুটুম), কুয়াকাটা টুরিস্ট বোট মালিক সমিতি, কুয়াকাটা শুভ সংঘ ক্লাব, কুয়াকাটা তরুন ক্লাব সহ স্থানীয় বিভিন্ন সংগঠন। অস্বাভাবিক জোয়ারের প্রভাবে বিধ্বস্ত-বিপর্যস্ত পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত পরিদর্শণ করতে আসেন পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্ণেল (অবঃ) জাহিদ ফারুক এমপি। শনিবার বিকাল সাড়ে ৫ টায় কুয়াকাটা সৈকতের ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শণ কালে এসময় উপস্থিত ছিনে স্থানীয় অধ্যক্ষ মহিব্বুর রহমান এমপি, পাউরো’র অতিরিক্ত মহাপরিচালক মোঃ হাবিবুর রহমান, বরিশাল বিভাগীয় প্রধান প্রকৌশলী মো.হারুন অর রশীদ, পাউবো’র প্রকল্প পরিচালক (সিইআইপি-১) মোহাম্মদ আলী, পাউবো’র পটুয়াখালী নির্বাহী প্রকৌশলী খান মোহাম্মদ ওয়ালীউজ্জামান, কলাপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম রাকিবুল আহসান,কুয়াকাটা পৌর মেয়র আব্দুল বারেক মোল্লাসহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। এসময় কুয়াকাটা ট্যুরিজম ম্যানেজমেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক, মোহাম্মদ জাকারিয়া জাহিদ বলেন, কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত আমাদের গর্ব, যেখানে একই সৈকতে দাঁড়িয়ে সূর্য উদয় সূর্য অস্তের মনোরম দৃশ্য উপভোগ করা যায়। আজ অবহেলিত সময়ের কারণে ভাঙ্গনের মধ্যে পড়েছি আমরা এই মৌসুমে ৩০০ থেকে, সাড়ে ৩০০ ফুট, বিলীন হয়ে গেছে সমুদ্র গর্বে, তার কথার সাথে দুঃখ প্রকাশ করে, কুয়াকাটা শুভ সংঘ ক্লাবের, সাবেক সাধারণ সম্পাদক, নেছার উদ্দিন তিনি বলেন, অতি দ্রুত যদি ভাঙ্গন রক্ষা না করা হয় তাহলে ১ থেকে ২ বছর সময় লাগতে পারে স্বপ্নের কুয়াকাটা বিলীন হতে, তাই আমাদের সবার দাবি স্বল্প সময়ের মধ্যে কুয়াকাটাকে টিকিয়ে রাখতে পর্যটন কেন্দ্রকে উন্নত করতে ভাঙ্গন রক্ষা করা অতি জরুরী। এ সময় পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘‘কুয়াকাটা ও কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতকে আর্ন্তজাতিক মানের পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তুলতে সরকার কাজ করছে। ইতিমধ্যে পাউবো’র প্রতিনিধি দল নেদারল্যান্ড ভ্রমন করেছে। ওই দেশের প্রযুক্তি ব্যবহার করে টেঁকসই বেড়িবাঁধসহ ভাঙ্গনরোধ প্রকল্প নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। জাহিদুল ইসলাম জাহিদ- (কুয়াকাটা কলাপাড়া প্রতিনিধি )